রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৫৯ পূর্বাহ্ন

মালচিং পদ্ধতিতে শসা চাষে কলেজছাত্রের সাফল্য

নিজস্ব প্রতিবেদক: ইচ্ছাশক্তি, মেধা ও শ্রমকে কাজে লাগিয়ে মালচিং পদ্ধতিতে হাইব্রিড শসা উৎপাদন করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন কলেজছাত্র মনজুরুল আহসান। তিনি যশোরের শার্শা উপজেলার শিকারপুর গ্রামের মৃত মোস্তাফিজুর রহমানের ছেলে। মালচিং পদ্ধতিতে শসার বাম্পার ফলনকে এরই মধ্যে পরিচিত করেছেন সাফল্যের মাধ্যমে।

জানা যায়, শিকারপুর গ্রামের ছেলে মনজুরুল আহসান স্থানীয় সরকারি বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ ডিগ্রি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়াশোনার পাশাপাশি কৃষিকাজে মনোযোগী হন। নিজের মেধা ও অর্থকে কাজে লাগিয়ে গত ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুতে বাড়ির পাশে ৫০ শতক পতিত জমিতে শসা চাষ শুরু করেন। সেখানে বর্তমানে প্রায় ৫-৭ জন বেকার মানুষের কর্মস্থানের সৃষ্টি হয়েছে।

তরুণ উদ্যোক্তো মনজুরুল আহসান জানান, তিনি বগুড়া থেকে এগ্রো ওয়ান লিমিটেডের প্রশিক্ষণ শেষে সাবিরা জাতের শসার বীজ বপন করেন। বেড তৈরি, রাসায়নিক ও জৈব সার প্রয়োগ করে আবাদকৃত জমি পলিথিনের মালচিং সেড দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়। এতে অতিবৃষ্টিতেও মাটির গুণাগুণ নষ্ট হয় না। তাছাড়া এ পদ্ধতিতে কৃষকের উৎপাদন খরচ অনেক কম হয়। সাবিরা জাতের শসা রোপণের ৩৫ দিনের মধ্যে ফুল আসে এবং ৬৫ দিন পর্যন্ত ভালো ফলন পাওয়া যায়। অন্য জাতের হাইব্রিড শসার জীবনকাল ৭৫-৮০ দিন। কম সময়ে ফলন বেশি।

তিনি আরও জানান, পবিত্র রমজান মাসে শসার ব্যাপক চাহিদা থাকে। দামও ভালো পাওয়া যায়। চলতি মৌসুমে পাইকারি হিসেবে প্রায় ৭০-৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তিনি আশা করেন রমজানে এরকম দরে বিক্রি চলমান থাকবে। তবে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে সহযোগিতা পেলে আরও সাফল্য পাওয়া সম্ভব বলে মনে করেন।

শার্শা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রতাপ মন্ডল জানান, চলতি মৌসুমে শার্শা উপজেলায় ১ হাজার ৬৫০ হেক্টর জমিতে সবজি উৎপাদন হয়েছে। ৫০ হেক্টর জমিতে শসা উৎপাদন হয়েছে। মালচিং পদ্ধতিতে শসা চাষ আধুনিক পদ্ধতি। এ পদ্ধতি ব্যবহারে জমিতে সার ও সেচ অন্য পদ্ধতির চেয়ে কম লাগে। অন্য ফসলের তুলনায় রোগবালাইও অনেক কম। আগাছা দমন হওয়ার জন্য এ পদ্ধতি সবচেয়ে ভালো।

তিনি বলেন, ‘মনজুরুলের বিষয়টি এরই মধ্যে শুনেছি। দ্রুত সরেজমিনে তার শসার মাঠ দেখতে যাওয়ার পরিকল্পনা আছে।’

 

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © gtbnews24.com
Web Site Designed, Developed & Hosted By ALL IT BD 01722461335